শীত এলেই ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। ঠান্ডা আবহাওয়া, কম আর্দ্রতা আর গরম পানিতে গোসল-সব মিলিয়ে ত্বক হারায় তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে, ফাটা ও প্রাণহীন। তবে কিছু সহজ উপায়ে শীতে ত্বক রাখা যায় কোমল ও উজ্জ্বল।

ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার

শীতে ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। গোসলের পর হালকা ভেজা ত্বকে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগালে তা ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, তারা তেলসমৃদ্ধ ক্রিম বা বডি বাটার ব্যবহার করতে পারেন।

গরম পানিতে গোসল কমান

অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। তাই শীতে হালকা কুসুম গরম পানিতে অল্প সময় গোসল করাই ভালো। এতে ত্বক কম শুষ্ক হবে।

ময়েশ্চারাইজিং ফেসওয়াশ ব্যবহার

শীতে হার্শ সাবান বা ফেসওয়াশ ত্বকের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ময়েশ্চারাইজিং উপাদানযুক্ত মাইল্ড সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শীতে তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। এতে ত্বকও থাকবে হাইড্রেটেড।

ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করুন

মধু, দুধ, অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল শীতে ত্বকের জন্য খুব উপকারী। সপ্তাহে ১-২ দিন এসব উপাদান দিয়ে ফেস বা বডি প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে।

ঠান্ডা বাতাস থেকে ত্বক রক্ষা করুন

বাইরে বের হলে গ্লাভস, মাফলার বা মোজা ব্যবহার করুন। এতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি ত্বকের ক্ষতি করতে পারবে না। তাই ত্বকের রুক্ষতা কমাতে ঠান্ডা বাতাস থেকে ত্বক রক্ষা করতে হবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ত্বক থাকে কোমল।